গুড়ের চা আর চিনি চা এদের গুণগত মান ও স্বাদের দিক বেশ ভালো একটা পার্থক্য দেখা যায়।
শীতের সকালে চায়ের কাপে চুমুক না দিলে ঘুম ভাঙে না? আর তাই সকাল হলেই দুধ চায়ে এক চামচ চিনি দিয়ে দেন?
শীতের সকালে চায়ের কাপে চুমুক না দিলে ঘুম ভাঙে না? আর তাই সকাল হলেই দুধ চায়ে এক চামচ চিনি দিয়ে দেন?
আবার চিনি না দিলেও স্বাদ পান না? সব সমস্যারই সমাধান রয়েছে।
আপনি চায়ে চিনির বদলে দিতে পারেন গুড়। যদি দিনে চার থেকে পাঁচ কাপ চা খেয়ে থাকেন, তাহলে গুড় চা আপনার জন্য একদম উপযুক্ত।
চায়ে চিনির পরিবর্তে গুড় ব্যবহার করলে তা অস্বাস্থ্যকর তো হয় না, বরং কিছুটা পরিমাণে এর স্বাস্থ্য উপকারিতাও থাকে।
এত বেশি পরিমাণে চা খাওয়াটা অস্বাস্থ্যকর।
ক্যাফিন ও চিনির কারণে অধিক পরিমাণে চা পান করলে শরীরের নানা ক্ষতি হতে পারে।
তবে গুড়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং বি, ফসফরাস, পটাশিয়াম, জিঙ্ক, সুক্রোজ, গ্লুকোজ, আয়রন, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও মিনারেল।
এবার ভাবছেন তো? এই যে আপনি চা-এ চিনির পরিবর্তে গুড় দেবেন, তাতে স্বাধটাও পরিবর্তন হবে। কিন্তু আদতে সুবিধা কী হবে?
জানলে অবাক হবেন, চায়ে গুড় দিয়ে খেলে অনেক ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
শীতের সময় গুড়ের চা পান করলে সর্দি ও কফ থেকে স্বস্তি পাওয়া যায়। গুড়ের চায়ে আদা, গোলমরিচ ও তুলসি পাতা দিয়ে পান করুন।
গুড়ের চা পান করলে হাড় মজবুত হয়। আবার গুড়ের চায়ে কিছু আয়ুর্বেদিক উপাদান মেশালে তা আরও উপকারী হয়।
এমনকি গুড়ের চা পান করলে পাচন তন্ত্র সুস্থ থাকে।
এর পাশাপাশি বুক জ্বালার সমস্যাও কমে। উল্লেখ্য গুড়ে কৃত্রিম সুইটনার কমই থাকে।
চিনির তুলনায় গুড়ে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল থাকে, তাই শীতকালে গুড়ের চা পান করলে অনেক উপকার পাবেন।
এই গুড়ের চা, শীতকালে আপনার শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করবে। কারণ গুড় গরম প্রকৃতির হয়।
তাই এটি শরীর যেমন গরম রাখে, তেমনই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।
উৎসঃ টিভি ৯বাংলা
যে কোনো বিষয়ে তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজটি তে লাইক করুন।
রান্না বিষয়ে আরো পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন