মূত্রনালীর সংক্রমণ থেকে কীভাবে পাবেন রেহাই? আসুন পড়ি বেশি বেশি আর জানি।
এসকেরেকিয়া কোলাই নামে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া আমাদের ডাইজেস্টিভ সিস্টেমে পাওয়া যায় এবং ইউ টি আই হওয়ার পেছনে এর হাত সবথেকে বেশি।
যখন ব্লাডারে জীবাণু সংক্রমণ হয় তখন তাকে বলা হয় সিস্টাইসিস।
যখন জীবাণু ইউরিনারি ট্র্যাকের মধ্য দিয়ে শরীরের ভেতরে প্রবেশ করে এবং ব্লাডার ও কিডনির উপরে খারাপ প্রভাব ফেলে তখন তাকেই বলা হয় ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন।
এই সমস্যা পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই হতে পারে
কিন্তু পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের ইউ টি আই অনেক বেশি হয়। তার কারণ অবশ্য পুরুষ ও মহিলার আলাদা শারীরিক গঠন।
মহিলাদের ইউরেথ্রা অর্থাৎ যে টিউবটি ব্লাডার ও ইউরিনারি ট্র্যাকের মাঝখানে থাকে, পুরুষদের তুলনায় অনেকটাই ছোট হয়।
ফলে জীবাণু খুব সহজেই ব্লাডার পর্যন্ত পৌঁছতে পারে এবং কিডনি পর্যন্তও কোনও কোনও সময়ে পৌঁছে যায়।
এসকেরেকিয়া কোলাই নামে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া আমাদের ডাইজেস্টিভ সিস্টেমে পাওয়া যায় এবং ইউ টি আই হওয়ার পেছনে এর হাত সবথেকে বেশি।
যখন ব্লাডারে জীবাণু সংক্রমণ হয় তখন তাকে বলা হয় সিস্টাইসিস। ইউরেথ্রা যখন জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয় তখন তাকে বলা হয় ইউরিথ্রাইটিস।
আবার অনেক সময়েই অবহেলার কারণে ইউ টি আই -এর প্রকোপ এতটাই বেড়ে যায় যে কিডনিতেও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে, তখন তাকে বলা হয় পাইলনেফ্রাইটিস।
ইউ টি আই দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার প্রধান কারণগুলি হল ডায়াবেটিস বা মধুমেহ রোগ, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না থাকা, প্রস্রাব চেপে রাখা, কোষ্ঠকাঠিন্য, পাবলিক টয়েলেট ব্যবহার করা ইত্যাদি।
কী করে বুঝবেন আপনি ইউ টি আই -তে ভুগছেন?
- বারবার প্রস্রাব পাওয়া
- এবং খুব বেশি প্রস্রাব হবে বলে মনে হওয়া, কিন্তু সে তুলনায় খুবই অল্প হওয়া
- প্রস্রাবের রং বদলে যাওয়া
- প্রস্রাবে দুর্গন্ধ হওয়া
- অনেক সময়েই প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত বের হওয়া
- প্রস্রাব করার সময়ে যৌনাঙ্গে অত্যন্ত জ্বালা
- বমি বমি ভাব হওয়া
- সারা শরীরে ব্যথা এবং তলপেটে মাঝে মাঝেই যন্ত্রণা হওয়া ও টান অনুভব করা
- জ্বর হওয়া ইত্যাদি।
ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন থেকে মুক্তি পাওয়ার খুব সহজ একটি ঘরোয়া উপায় হল প্রচুর পরিমাণে জল পান করা।
যত বেশি জল আপনার শরীরে যাবে, তত বেশি আপনার শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যাবে। সারা দিনে অন্তত আট গ্লাস অর্থাৎ দুই লিটার জল পান করুন।
শরীরে সঠিক নিউট্রিশন পৌঁছয় এমন খাবার খাওয়া জরুরি।
এমন খাবার খান যাতে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে, যেমন লেবু জাতীয় ফল, ক্র্যানবেরি জুস খেতে পারেন, আবার আপেলও খেতে পারেন।
এ ছাড়া প্রচুর পরিমাণে শাক সব্জি খাওয়া জরুরি। তার পাশাপাশি খেতে পারেন দেশি মুরগি, ভাল টাটকা তাকা মাছ।
তবে বর্জন করে চলুন কফি, কোল্ড ড্রিঙ্ক, অতিরিক্ত তেল ও মশলাযুক্ত খাবার, অ্যালকোহল ইত্যাদি।
অনেকেরই একটি অত্যন্ত খারাপ অভ্যাস আছে। তা হল প্রস্রাব চেপে রাখা।
অনেকেই রাস্তায় বেরিয়ে প্রস্রাব পেলে তা চেপে রাখেন, আবার অনেকেই আলসেমি করেও অনেকক্ষণ পর্যন্ত প্রস্রাব চেপে রাখেন।
এতে শরীরের ব্লাডারে চাপ তো পড়েই, তার পাশাপাশি ব্যাকটেরিয়াও বেড়ে যেতে থাকে শরীরের মধ্যে।
যতটা সম্ভব সুতি বা লিনেনের পোশাক পরুন। এতে ঘষা লাগে না এবং জীবাণু সংক্রমণও কম হয়।
ঢিলে পোশাক পরুন এতে কখনও ঘাম হলেও ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করতে পারবে না আপনার স্পর্শকাতর অঙ্গে।
অত্যন্ত আঁটোসাঁটো পোশাক এড়িয়ে চলুন।
উৎসঃ টিভি ৯বাংলা
যে কোনো বিষয়ে তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজটি তে লাইক করুন।
স্বাস্থ্য বিষয়ে আরো পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন