এই ৫ টিপস মেনে চললেই সিজনাল-ফ্লু থাকবে দূরে
ঋতু বদলের সময় সর্দি, কাশি, গলা ব্যথার মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। আবার বসন্তের হাওয়ায় ভাইরাস ঘটিত রোগের উপদ্রপ বেশি হয়।
অনেকেই অ্যালার্জি, কনজাংটিভাইটিস এবং পক্স, বসন্তের মতো রোগে আক্রান্ত হয়। এই সমস্ত রোগ ঠেকাতে শরীরের বিশেষ যত্ন নিতে হবে।
নিচের ৫ টি উপায়ে সিজনাল-ফ্লু থাকবে দূরে
১। শীত শেষ হয়ে বসন্ত আসছে। বলা ভাল, গরম পড়তে শুরু করেছে।
ফেব্রুয়ারির শেষেই কলকাতার তাপমাত্রা উঠে গিয়েছে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এখনই বাসে-ট্রেনে যেতে গেলে ঘাম ঝরছে। বাড়িতে পাখা চালাতে হচ্ছে।
আবার সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা নামছে। ফলে এই সময়ে ঠান্ডা-গরমে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে।
২। ঋতু বদলের সময় সর্দি, কাশি, গলা ব্যথার মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। আবার বসন্তের হাওয়ায় ভাইরাস ঘটিত রোগের উপদ্রপ বেশি হয়।
অনেকেই অ্যালার্জি, কনজাংটিভাইটিস এবং পক্স, বসন্তের মতো রোগে আক্রান্ত হয়। এই সমস্ত রোগ ঠেকাতে শরীরের বিশেষ যত্ন নিতে হবে।
৩। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকলে সর্দি-কাশি, জ্বর থেকে বসন্ত, পক্সের মতো অসুখ আটকানো সম্ভব।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ওষুধ জরুরি নয়।
প্রতিদিনের ডায়েটে বিশেষ কিছু খাবার রাখলে এবং শরীরচর্চা মেনে চললেই বিভিন্ন রোগের মোকাবিলা করতে পারবেন।
৪। বিভিন্ন অসুখ থেকে শরীরের যে কোনও সমস্যার মোকাবিলা করতে বড় ভূমিকা নেয় জল।
শরীর হাইড্রেটেড থাকলে সহজেই অনেক শারীরিক সমস্যার সমাধান সম্ভব। পর্যাপ্ত জল পান করলে কিডনি ভাল কাজ করে।
ফলে শরীরের টক্সিন প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। আর দেহে জলের অভাব ঘটলে সহজেই ব্যাকেটেরিয়া আক্রমণ করতে পারে।
সিজনাল ফ্লু নিয়ে এতো চিন্তার কিছু নেই
৫। শরীর সুস্থ রাখার জন্য বিশেষ প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম। বিশেষজ্ঞদের মতে, রোজ রাতে অন্তত ৬-৭ ঘণ্টা ভাল ঘুম সারাদিনের ক্লান্তি, মানসিক চাপ কমিয়ে দেয়।
ফলে শরীর ও মন চনমনে থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।
৬। শরীরকে ফিট ও চাঙ্গা রাখতে প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। ভিটামিন, খনিজ-সমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাবার শরীরকে সবল রাখতে সাহায্য করে।
এছাড়া ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার (লেবু, দুধ ও দুগ্ধজাতীয় দ্রব্য) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান বিশিষ্ট হলুদও অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে।
৭। স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি নিয়ম মেনে খাবার খাওয়া জরুরি। অনেকেই কাজের চাপে ব্রেকফাস্ট বা ডিনার করেন না।
কিন্তু, এটা করা একেবারেই উচিত নয়। সারাদিন শরীরকে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করে ব্রেকাফাস্ট। আর ডিনার না করলে শরীর দুর্বল হতে থাকবে।
তাই প্রোটিন, ভিটামিন-সমৃদ্ধ ব্রেকফাস্ট এবং বেশি রাত না করে ডিনার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
৮। দৈনন্দিনের রুটিনে শরীরচর্চা রাখা জরুরি। সারাদিনে অন্তত ১৫-২০ মিনিট নিয়ম করে হাঁটা, জগিং বা যোগব্যায়ামের অভ্যাস শরীরকে ফিট রাখে।
আর শরীর ফিট থাকলে সহজে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস আক্রমণ করতে পারে না। এছাড়া নিয়মিত শরীরচর্চায় মনও শান্ত হয়।
উৎসঃ টিভি ৯বাংলা