বাংলাদেশের সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে সংঘাত সংঘর্ষ নিয়ে নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘বান্দরবানে ফের আশ্রয় বিজিপির ১৭৫ জনের’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মিয়ানমারে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির তাড়া খেয়ে প্রাণ বাঁচাতে এবার দেশটির সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপির ১৭৫ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
সোমবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে তারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। পরে তাদের নিরস্ত্র করে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড-বিজিবি।
এদের মধ্যে সকালে ২৯ জন এবং বিকেলে আরো ১৪৬ জন আশ্রয় গ্রহণ করে সীমান্তে। এর মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ ও অন্য একজন আহত রয়েছেন।
সকালে আশ্রয় নেয়া ২৯ জনকে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন সদরে নিয়ে আসা হয়েছে। অন্যদেরও পর্যায়ক্রমে সেখানে নিয়ে আসা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এ দিকে মিয়ানমারের রাখাইনে জান্তা বাহিনীর সাথে আরাকান আর্মির তুমুল যুদ্ধ চলছে।
আরাকান আর্মির সাথে সংঘর্ষে টিকতে না পেরে বিজিপি সদস্যরা বাংলাদেশের সীমান্তের নো ম্যান্স ল্যান্ডে আশ্রয় নেয়। পরে বাংলাদেশ তাদের আশ্রয় দেয়।
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপারে টানা দুই সপ্তাহ থেমে থেমে গোলাগুলি ও মর্টার শেলের বিস্ফোরণ চলছে। এতে আতঙ্কে আছেন বাংলাদেশের টেকনাফ সীমান্তের মানুষ।
![পত্রিকা](https://ichef.bbci.co.uk/ace/ws/640/cpsprodpb/b7f5/live/2bfeb840-e016-11ee-9410-0f893255c2a0.jpg)
একই বিষয়ে প্রধান শিরোনাম করেছে নিউ এইজ। এর বাইরে তাদের প্রথম পাতায় ল্যাবএইডে রোগীর মুত্যুর ঘটনা নিয়ে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ খবর ছাপা হয়েছে।
যার শিরোনাম, ‘HC orders probe into Labaid patient’s death’ অর্থাৎ ‘ল্যাব এইডে রোগীর মৃত্যুর তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে গত ১৯শে ফেব্রুয়ারি রাহিব রেজা নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তদন্তের জন্য স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে একজন চিকিৎসকের নেতৃত্বে একটি স্বাধীন কমিটি গঠন করতে বলেছে হাইকোর্ট।
আদালত স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে কমপক্ষে পাঁচজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং একজন আইনজীবী নিয়ে কমিটি গঠন করে তিন মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে।
ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলা ও ভুল চিকিৎসায় রাহিম মারা যান বলে ভুক্তভোগীর বাবা-মা ও স্ত্রীর দায়ের করা রিট আবেদনে বলা হয়েছে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ হিসেবে মৃত ব্যক্তির আয় বিবেচনা করে ল্যাবএইড হাসপাতালের কাছ থেকে ১২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন আবেদনকারীরা।
![পত্রিকা](https://ichef.bbci.co.uk/ace/ws/640/cpsprodpb/fbce/live/331aa2b0-e016-11ee-8bf3-195418ba9285.jpg)
নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘মূল্যস্ফীতির লাগাম টানা যাচ্ছে না কিছুতেই’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে,মূল্যস্ফীতি কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি নিলেও তাতে কাজ হচ্ছে না।
অন্যদিকে সংকোচন মূলক মুদ্রানীতির কারণে প্রতিমাসে সুদের বাড়ছে, এতে বেড়ে যাচ্ছে ব্যবসার খরচ। এতে বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে কর্মসংস্থানে বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
সুদের হার বৃদ্ধি অর্থনীতিতে বাড়তি চাপ তৈরি করছে বলে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন।
চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিমাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি নয় শতাংশের বেশি রয়েছে। সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল আট শতাংশে নামিয়ে আনা। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি।
এদিকে রোজাকে কেন্দ্র করে বাজারে জিনিসপত্রের দাম আরেক দফা বেড়েছে ফলে মার্চের মূল্যস্ফীতি আগের চেয়ে বাড়বে বলে ধারণা করা যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন শুধু মুদ্রানীতি দিয়ে মূল্যস্ফীতি কমানো যাবে না। এর সঙ্গে বাজার ব্যবস্থাপনা সরবরাহ চেইনসহ অন্যান্য অনেক বিষয় জড়িত।
অর্থনীতির প্রচলিত নিয়মে মানুষ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি কমানো যায়। তবে আমাদের এখানে অনেক ক্ষেত্রে অর্থনীতির সাধারণের নিয়ম অনেক সময় কাজে আসে না।
![পত্রিকা](https://ichef.bbci.co.uk/ace/ws/640/cpsprodpb/9cde/live/3e0bb100-e016-11ee-9410-0f893255c2a0.jpg)
গত বছর ও এবারের রোজায় পণ্যের দামে পার্থক্য নিয়ে প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘রোজার বাজারে আরও অস্বস্তি’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, কয়েক বছর ধরে পবিত্র রমজান মাসে অন্তত কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারতেন মানুষ। কারণ, রোজা শুরুর সময় পেঁয়াজের মৌসুম চলে। এবার সেই পেঁয়াজের দরও চড়া।
রোজা শুরুর আগের দিন গতকাল সোমবার রাজধানীর বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ১১০ টাকা। গত বছর রোজার আগে একই পেঁয়াজের কেজি ছিল ৪০ টাকার মধ্যে।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তালিকা ধরে ১৫ পণ্যের মূল্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত রোজার তুলনায় এবার ১০টি পণ্যের দাম বেশি; ৫টির কম।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের ঘোষিত ইশতেহারে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
বাজারে অভিযান, হুঁশিয়ারি অন্য পণ্যের দাম কমাতে পারেনি। নির্ধারিত দর কার্যকর করতেও সফল হয়নি সরকারি সংস্থা।
রোজায় বাজারদর বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এখন মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের কাছাকাছি।
অর্থনীতিবিদদের মতে, যখন দাম বাড়তে থাকে, তখন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে মূল্যস্ফীতি দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়।
![পত্রিকা](https://ichef.bbci.co.uk/ace/ws/640/cpsprodpb/eb22/live/4acf5c70-e016-11ee-9410-0f893255c2a0.jpg)
দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়া নিয়ে মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম, ‘লাগামহীন ইফতার দামে অস্বস্তি’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এবারের রমজান মাসে নানা অজুহাতে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে এখন অনেক পণ্যই ক্রেতার নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে।
নতুন করে বেড়েছে রমজাননির্ভর পণ্যের দাম। ইফতার সামগ্রীর দামও এবার আকাশচুম্বি। এই ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
রোজার আগে বাজার নিয়ন্ত্রণে নানা উদ্যোগের কথা জানিয়েছিল সরকার। সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা নানা ঘোষণা দিয়েছিলেন।
কিন্তু আদতে বাজারে এর তেমন কোনো প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না।
রোজার আগেই চিনি, ভোজ্য তেল ও খেজুরের শুল্ক কমানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। রমজান শুরু হলেও এসব পণ্যের দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই।
শুধু এসব পণ্যই নয় বাজারে শাক-সবজি, মাছ, মাংস, ফল কোনোটির দামেই স্বস্তি নেই।
বিদেশি ফলে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ করায় গত বছরের চেয়ে দাম বেড়েছে অনেক। অনেকে এখন আর ফল কেনার সাহস পান না।
বিভিন্ন ধরনের শরবত, পানীয়, শসা, লেবু এমনকি বেগুনের দামেও উলম্ফন হয়েছে গত কয়েকদিনে।
প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করলেও পণ্য মূল্য কমানো যায়নি। বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে আগের চেয়ে বেড়েছে।
![পত্রিকা](https://ichef.bbci.co.uk/ace/ws/640/cpsprodpb/2e44/live/500c9bd0-e016-11ee-9410-0f893255c2a0.jpg)
ব্যাংকিং খাত নিয়ে যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘সুদ-আসল দুটোই হারানোর শঙ্কা’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ব্যাংক ও আর্থিক খাতে আমানত সংগ্রহে চলছে অসুস্থ প্রতিযোগিতা। কোনো কোনো দুর্বল ব্যাংক সর্বোচ্চ ১৩ থেকে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত সুদ অফার করছে।
এ ধরনের উচ্চ সুদে আমানত নিলে সে প্রতিষ্ঠানকে বিদ্যমান বিধান অনুযায়ী কমপক্ষে ১৬ থেকে ১৭ শতাংশ সুদে ঋণ দিতে হবে।
এছাড়া কয়েকটি দুর্বল নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান আমানত পেতে সর্বোচ্চ ১৭ থেকে ১৮ শতাংশ পর্যন্ত সুদ প্রস্তাব করছে। সেক্ষেত্রে ঋণ দিতে হবে ২০থেকে ২১ শতাংশ সুদে।
এই অসম প্রতিযোগিতার কারণে ঋণের সুদও বেড়ে যাচ্ছে। এতে বিপাকে পড়ছেন ঋণগ্রহীতারা। এছাড়া উচ্চ সুদের এ টাকা ফেরত আসবে কি না-সে বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা নেই-এমন শঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, মূল্যস্ফীতি কমাতে এখন আমানত ও ঋণে সুদের হার বাড়ছে, এটা ঠিক। সেটা সর্বোচ্চ ১২ থেকে ১৩ শতাংশ পর্যন্ত যেতে পারে। তবে ১৭ থেকে ১৮ শতাংশ সুদে আমানত নিয়ে ব্যবসা করলে সে ব্যবসা টিকবে না।
![পত্রিকা](https://ichef.bbci.co.uk/ace/ws/640/cpsprodpb/b7d0/live/561c9480-e016-11ee-860f-4b0b053e4cd0.jpg)
তবে ব্যাংকিং খাতে কিছুটা ভালো খবর দিয়ে শিরোনাম করেছে বণিক বার্তা, ‘দেশের আমদানি কমলেও ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর প্রবৃদ্ধি ১১৩%’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, প্রায় দুই বছর ধরে দেশের আমদানি প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক ধারায়। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) তা কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ।
কিন্তু বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর আমদানি বাণিজ্যে। গত অক্টোবর-ডিসেম্বর মেয়াদে এ ধারার ব্যাংকগুলোর আমদানি ১১৩ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তারল্য নিয়ে কিছুটা চাপে থাকলেও দেশের ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোয় ডলারের প্রবাহ বেশ ভালো।
রেমিট্যান্স ও রফতানি আয়ের উল্লেখযোগ্য অংশই এ ধারার ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে দেশে আসে।
এ কারণে প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলো আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খুলতে হিমশিম খেলেও ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো চাহিদা অনুযায়ী এলসি খুলতে পেরেছে।
দেশে বর্তমানে শরিয়াহভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ ব্যাংক রয়েছে ১০টি। এর বাইরে প্রচলিত ধারার ১৫টি ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকিং শাখা ও ১৬টি ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকিং উইন্ডোর মাধ্যমে সেবা দিচ্ছে।
ব্যাংক খাতের মোট আমানতের ২৫ শতাংশ ও মোট বিনিয়োগের (ঋণ) ২৮ দশমিক ৯২ শতাংশ ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে।
আর প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ৫৪ শতাংশই আসছে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে।
![পত্রিকা](https://ichef.bbci.co.uk/ace/ws/640/cpsprodpb/fa07/live/5d7f4bf0-e016-11ee-8bf3-195418ba9285.jpg)
বিমান চলাচলে সম্ভাব্য দুর্ঘটনা নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার খবর, ‘A close call for US-Bangla’ অর্থাৎ ‘ইউএস-বাংলার জন্য সতর্ক বার্তা’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের নির্দেশনা উপেক্ষা করে, ইউএস-বাংলার একটি বিমান চট্টগ্রামে রানওয়েতে উঠেছিল অন্য একটি বিমান অবতরণের এক মিনিটেরও কম সময় আগে, তবুও ওই ঘটনাকে ঘিরে কোন তদন্ত শুরু হয়নি।
এটিসি এবং পাইলটদের মধ্যে কথোপকথনের অডিও রেকর্ডিং অনুসারে, গত ১৮ই জানুয়ারি, সকাল সাড়ে নয়টার ঠিক আগে, ঢাকা থেকে আরিরং-এর একটি চার্টার্ড ফ্লাইট চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের অনুমতি পায়।
ছয় সেকেন্ড পরে, ইউএস বাংলার একটি বিমান ঢাকার উদ্দেশে একই রানওয়েতে ট্যাক্সি পারমিশন চায়।
এটিসি ইউএস বাংলা প্লেনটিকে রানওয়েতে ট্যাক্সি করতে বললেও হোল্ডিং পয়েন্টে থামতে বলেছিল। যা রানওয়েতে ওঠার আগে স্পষ্টভাবে চিহ্নিত লাইন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইউএস বাংলার বিমানটি হোল্ডিং পয়েন্ট অতিক্রম করে রানওয়েতে উঠতে শুরু করেছিল যখন কিনা আরিরাং ফ্লাইটটি অবতরণের জন্য রানওয়ে স্পর্শ করতে যাচ্ছিল।
ইউএস বাংলার প্লেনটিকে ট্যাক্সির ছাড়পত্র দেওয়ার সতেরো সেকেন্ড পর এয়ার-ট্রাফিক কন্ট্রোলারকে চিৎকার করতে শোনা যায় “বাংলা স্টার হোল্ড পজিশন!”
আরিরাং প্লেনের অবতরণের অনুমতি বাতিল করার আগে এবং এটিকে ঘুরে যেতে এবং আবার অবতরণের চেষ্টা করতে বলে। এই সব ঘটেছে মাত্র ৪৮ সেকেন্ডের মধ্যে।
![পত্রিকা](https://ichef.bbci.co.uk/ace/ws/640/cpsprodpb/fc16/live/63f2c160-e016-11ee-860f-4b0b053e4cd0.jpg)
ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা নিয়ে কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, ‘সক্ষমতা বাড়লেও আধুনিকায়ন হয়নি’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের , সরঞ্জাম ও কৌশলে কিছুটা সক্ষমতা বাড়লেও সেভাবে আধুনিকায়ন হয়নি। এ ক্ষেত্রে অনেক আগে উদ্যোগ নেওয়া হলেও অগ্রগতি নেই।
ফায়ার সার্ভিসের পরিকল্পনায় থাকা প্রকল্পগুলো বিশ্লেষণে দেখা যায়, হেলিকপ্টার প্যাকেজ কেনার যে প্রকল্প, সেটি এখনো আলোচনার পর্যায়েই রয়েছে।
কবে এই হেলিকপ্টার ফায়ার সার্ভিসে যুক্ত হবে, তা জানে না ফায়ার সার্ভিস নিজেও।
কোনো ভবন অগ্নিঝুঁকিসহ ব্যবহারের অনুপযোগী বলে চিহ্নিত করে সেটি সরাসরি সিলগালা করে দেওয়ার কোনো ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার নেই ফায়ার সার্ভিসের। তারা শুধু নোটিশ দিতে পারে।
ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের ১৯৮৩ সালের অর্গানোগ্রামই এখনো রয়ে গেছে।
সেই সময় মহাপরিচালকের বা পরিচালকের যে গ্রেড ছিল, এখনো সেটাই রয়ে গেছে। সারা দেশে ফায়ার সার্ভিসের মাত্র ১৪ জন ডেপুটি ডিরেক্টর আছেন।
ফায়ার সার্ভিসের আধুনিকায়নের বিষয়ে কর্মকর্তাদের একটাই বক্তব্য, তা হল, আগুন বা ভূমিকম্পের বিষয়ে জনগণের সচেতনতা দরকার। তাহলে ক্ষয়ক্ষতি অনেক কমানো যাবে।
![পত্রিকা](https://ichef.bbci.co.uk/ace/ws/640/cpsprodpb/cf50/live/e5f1b770-e016-11ee-8bf3-195418ba9285.jpg)
কিডনি রোগীর চিকিৎসা নিয়ে দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘৪ কোটি কিডনি রোগী ডাক্তার ৩৬০‘।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, দেশের প্রায় চার কোটি মানুষ কোনো না কোনো কিডনির জটিলতায় ভুগছেন। এর বিপরীতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেফ্রোলজিস্ট আছেন মাত্র ৩৬০ জন।
আর ডায়ালাইসিস সেন্টারের সংখ্যা ২৫০ থেকে ২৬০টি। অপ্রতুলতা চিকিৎসাব্যবস্থা ও চিকিৎসা ব্যয় বেশি হওয়ায় মোট কিডনি রোগীর ৯০ শতাংশই থাকছেন চিকিৎসা সেবার বাইরে।
দেশে এ বিপুলসংখ্যক মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত হলেও কিডনি চিকিৎসার নাজেহাল অবস্থা।
বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা যায়, দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগীর হার শতকরা ১৬-১৮ ভাগ। এ চিকিৎসা এতটাই ব্যয়বহুল যে, শতকরা ১০ জন রোগী তা বহন করতে পারে না।
ফলে প্রায় ৯০ ভাগ রোগী বিনা চিকিৎসায় অথবা আংশিক চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুসারে, বিশ্বে ২০৪০ সালের মধ্যে ৫০ লাখের বেশি কিডনি বিকল রোগী সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করবে।
বর্তমানে ৮৫ কোটির অধিক মানুষ দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত। প্রতি বছর ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ আকস্মিক কিডনি বিকল রোগে আক্রান্ত হয়, যার ৮৫ ভাগই উন্নয়নশীল দেশে।