নারীর সম্ভ্রমহানি নাকি সমাজের?
স্ত্রীকে (১৮) নিয়ে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর পর্যটন এলাকায় ঘুরতে গিয়েছিলেন এক তরুণ।
এ সময় তাঁকে বেঁধে রেখে তাঁর স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় আজ রোববার দুপুরে তিনজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন ওই তরুণ।
এর আগে গত বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পর্যটন এলাকা মুছাপুর স্লুইসগেটের পূর্ব পাশের বাগানে এ ঘটনা ঘটে।
তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার আসামিরা হলেন উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের,
নুর নবীর ছেলে জাহাঙ্গীর (৩৫), একই ওয়ার্ডের একরামুল হকের ছেলে মো. রিয়াদ (৩০) ও মুছাপুর ক্লোজারের রেগুলেটর মোড়ের আলাউদ্দিনের ছেলে জালাল উদ্দিন (২৮)।
অপরাধ প্রতিদিন বাড়ছে, বাঁচুন সাইবার ক্রাইম থেকে
নারীর সম্ভ্রমহানি – অর্থ কি দাড়ায়?
ধর্ষিতা মায়ের সন্তান কে যারজ সন্তান হিসাবেই আখ্যায়িত করে এই সমাজ। তার মানে যত ধর্ষণ ততো যারজ। আমাদের বিবেক বোধ যদি এভাবে রসাতলে যেতে থাকে তাহলে সমাজে “যারজ” একটা মাছ ভাত ব্যাপার হয়ে যাবে।
আল্লাহ্ যেন ক্ষমা করেন আমাদের সবাইকে, সেই সাথে হেদায়েত নসীব করেন, আমীন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,
বুধবার বেলা ১১টার দিকে স্ত্রীকে (১৮) নিয়ে নোয়াখালী সদর উপজেলা থেকে মোটরসাইকেলযোগে কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর স্লুইসগেট এলাকায় ঘুরতে যান ওই তরুণ।
তাঁরা স্লুইসগেট পার হয়ে পূর্ব দিকে বাগানের পাশে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছবি তোলার সময় আসামি জাহাঙ্গীর, রিয়াদ ও জালাল উদ্দিন হাতে ছুরি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁদের ভয় দেখান।
এরপর তাঁদের দুজন ওই তরুণকে গাছের সঙ্গে গামছা দিয়ে বেঁধে রেখে তাঁর স্ত্রীকে বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
অপর আসামি জালাল উদ্দিন তখন বেঁধে রাখা তরুণকে পাহারা দিতে থাকেন।
বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা পালিয়ে যান।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন,
এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন ওই গৃহবধূর স্বামী। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চালাচ্ছে।
এক নারীর সম্ভ্রমহানি মানে পুরো মানবজাতি কলঙ্কিত।