হোম স্বাস্থ্য চিকিৎসা স্ট্রেচ মার্ক দূর করতে ১১টি উপায়

স্ট্রেচ মার্ক দূর করতে ১১টি উপায়

0

স্ট্রেচ মার্কের কোনো নিশ্চিত সমাধান না থাকলেও, সাময়িক চিকিৎসা আপনার ত্বককে জলীয় রাখতে, আরোগ্য উন্নীত করতে এবং এমনকি ত্বকের টোনকে ধরে রাখতে সাহায্য করতে পারে।

স্ট্রেচ মার্ক, যাকে স্ট্রাই (striae) নামেও ডাকা হয়, তখন ত্বক দ্রুত বৃদ্ধি বা ওজন বৃদ্ধির কারণে আকার পরিবর্তন করে। সাধারণত এগুলো আপনার স্বাস্থ্যের কোনো সমস্যার লক্ষণ নয়।

সাধারণত যে কেউ স্ট্রেচ মার্ক পেতে পারে। গর্ভাবস্থা এবং কৈশোর (puberty) জীবনে এগুলো পাওয়ার সবচেয়ে সাধারণ দুটি সময়।

প্রথমে, একটি স্ট্রেচ মার্ক তার চারপাশের ত্বকের চেয়ে ভিন্ন টেক্সচারের একটি হালকা লাল বা বেগুনি রেখা হিসাবে দেখা দেবে। প্রায়ই দেখা যায় যে স্ট্রেচ মার্ক সময়ের সাথে সাথে নিজেই মিলিয়ে যায়।

মিলিয়ে যাওয়ার পরে এগুলি কম লক্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে। মলিন স্ট্রেচ মার্কগুলি সাধারণত আশেপাশের ত্বকের চেয়ে হালকা রঙের এবং একটু চকচকে দেখায়, যেমন একটি দাগ।

গবেষণা আমাদের জানায় যে স্ট্রেচ মার্কের জন্য এখনও পর্যন্ত কোনো স্থায়ী সমাধান নেই। কিন্তু কিছু ঘরোয়া  উপাদান (home remedy) স্ট্রেচ মার্কের আবির্ভাব কমাতে এবং আরও দ্রুত মিলিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারে।

তবে যে স্ট্রেচ মার্কগুলো তুলনামূলক ভাবে নতুন, সেগুলো পুরনো স্ট্রেচ মার্কের তুলনায় চিকিৎসার প্রতি বেশি সাড়া দেয়।


স্ট্রেচ মার্কের জন্য প্রাকৃতিক উপায়

১. ভিটামিন এ

ত্বকের যত্নের পণ্যে ভিটামিন একে রেটিনয়েড (Retinoid) নামে অভিহিত করা হয়। রেটিনয়েডগুলি ত্বককে আরও মসৃণ এবং যুবতীয়া দেখায়। এগুলো ঔষধ ছাড়া পাওয়া যায় এমন (over-the-counter – OTC) বিভিন্ন ধরণের টপিক্যাল কসমেটিক ক্রিমে ব্যবহৃত হয়।

২০১৫ সালের একটি গবেষণা ট্রেটিনোইন (tretinoin) নিয়ে কাজ করেছে, যা রেটিনলের একটি প্রেসক্রিপশন-স্ট্রেংথ ফর্ম। ১৯৯৬ সালের আরেকটি পুরোনো গবেষণায় গবেষকরা দেখতে পান যে ট্রেটিনোইন স্ট্রেচ মার্ককে ছোট এবং কম গুরুতর দেখতে সাহায্য করে।

যাইহোক, সাম্প্রতিককালে এবং বৃহৎ পরিসরে করা কয়েকটি গবেষণা স্ট্রেচ মার্কের জন্য ট্রেটিনোইনের কার্যকারিতা পরীক্ষা করেছে। স্ট্রেচ মার্কের উপর এর সমস্ত প্রভাব চিহ্নিত করতে আরও গবেষণা প্রয়োজন।

ভিটামিন এ পণ্যগুলি কখনও কখনও ত্বকে জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে, তাই আপনি যদি এই উপাদানটি চেষ্টা করেন তবে নির্দেশাবলী অনুসরণ করা ভালো।

গর্ভাবস্থায় রেটিনয়েড ব্যবহারের কিছু ঝুঁকি রয়েছে বলে জানা যায়, তাই আপনি যদি নিম্নলিখিত অবস্থায় থাকেন তবে এগুলি ব্যবহার করা উচিত নয়:

  1. গর্ভবতী
  2. স্তন্যপান করানো
  3. গর্ভবতী হওয়ার চেষ্টা করছেন

২. হায়ালুরোনিক এসিড

হায়ালুরোনিক এসিড ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে এবং চিকিৎসায় একটি কার্যকর উপাদান। এটি প্রায়শই ক্রিম, লোশন এবং সিরামে ব্যবহৃত হয়।

স্ট্রেচ মার্ক আপনার ত্বকে অদৃশ্য পরিবর্তন নিয়ে আসে। এই পরিবর্তনগুলি ত্বককে কম নমনীয় করে তোলে, কারণ কোলাজেন ত্বককে শক্তিশীল করার তার স্বাভাবিক কাজটি করতে পারে না।

২০১৪ সালের একটি গবেষণা অনুসারে, হায়ালুরোনিক এসিডের ত্বকের নমনীয়তা উন্নত করার সমাধান থাকতে পারে।

অন্যদিকে ২০১৭ সালের কিছু গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে হায়ালুরোনিক এসিড স্ট্রেচ মার্কের চেহারা উন্নত করতে পারে, তবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন।

এটি চেষ্টা করার জন্য, প্রতিদিন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় একটি হায়ালুরোনিক এসিড পণ্য লাগান।

৩. সেন্টেলা (থানকুনি বাংলা নাম)

Centella asiatica ( থানকুনি )

“সেন্টেলা এশিয়াটিকা” একটি ভেষজ উদ্ভিদ যা কোরিয়ান সৌন্দর্য (K-beauty) পণ্যের একটি জনপ্রিয় উপাদান।

সেন্টেলা‌যুক্ত পণ্যগুলোকে সিকা ক্রিম (Cica Cream) নামে পরিচিত। এই ক্রিমগুলো কখনও কখনও দাগের চিকিৎসা হিসাবে বা সংবেদনশীল ত্বককে জলবন্ত এবং মেরামত করতে সাহায্য করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

সাম্প্রতিককালে যুক্তরাষ্ট্রে সিকা ক্রিমের জনপ্রিয়তা বাড়ছে, তবে এগুলো খুবই দামী হতে পারে।

সেন্টেলা প্রদাহ কমাতে এবং কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। ২০১৫ সালের একটি গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে সেন্টেলা‌যুক্ত ক্রিম গর্ভাবস্থায় স্ট্রেচ মার্ক প্রতিরোধ করতে এবং চেহারা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। তবে গবেষকরা আরও সতর্ক করেছেন যে এ বিষয়ে আরও প্রমাণের প্রয়োজন আছে।

৪. চিনি

চিনি একটি জনপ্রিয় এক্সফোলিয়েটর (exfoliator)। ছোট্ট কристаলগুলো মৃত ত্বককে আলতো করে ঘষে তুলে আরও মসৃণ অনুভূতি দেয়।

চিকিৎসক দ্বারা করা মাইক্রোডার্মঅ্যাব্রেশন (microdermabrasion) হ’ল ক্লিনিকালি প্রমাণিত কয়েকটি পদ্ধতির মধ্যে একটি যা স্ট্রেচ মার্ক ফিকে করে দেয়।

সুতরাং, এক্সফোলিয়েশনের জন্য এই উপায় টি চেষ্টা করে দেখার মতো মনে হয়। আপনার বাড়িতে হয়তো এই উপাদান গুলো ইতিমধ্যেই রয়েছে।

চিনি স্ক্রাব তৈরি করতে:

  • ১/২ কাপ চিনির সাথে নারকেল তেল বা বাদামের তেলের মতো নরম করণকারী উপাদান মেশান। তেলটি একটু একটু করে চিনির সাথে মিশিয়ে নিন। আপনার স্ক্রাবটি ভেজা সৈকতের বালির মতো দেখতে হলে এটি তৈরি। আপনার মোট ১/২ কাপ তেল লাগবে।
  • আপনার শরীরের যে অংশে স্ট্রেচ মার্ক আছে সেখানে মিশ্রণটি আলতো করে ঘষুন।
  • গোসল করার সময় সপ্তাহে ২ বা ৩ বার পুনরাবৃত্তি করুন। হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

প্রয়োজন অনুযায়ী স্ক্রাবের ছোট ছোট পেস্ট তৈরি করুন। আপনি আপনার চিনি স্ক্রাবকে একটি সিল করা পাত্রে অল্প সময়ের জন্য সংরক্ষণ করতে পারেন, তবে এটির গন্ধ খারাপ লাগতে শুরু করলে নতুন করে তৈরি করুন।

৫. অ্যালোভেরা

Aloe Vera

প্রাকৃতিক ত্বকের চিকিৎসা হিসাবে অ্যালোভেরার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। অ্যালোভেরা গাছের পাতার ভেতরের জেলটি সরাসরি ত্বকে লাগানো যেতে পারে এটিকে শান্ত এবং আর্দ্র রাখতে।

২০১৮ সালের গবেষণায় ইঙ্গিত দেয় যে অ্যালোভেরা দগ্ধ এবং ক্ষত থেকে ত্বক সারাতে সাহায্য করে। স্ট্রেচ মার্ক ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের এক ধরণের দাগ হওয়ার কারণে, অ্যালোভেরার ত্বক-মেরামতকারী বৈশিষ্ট্যগুলি স্ট্রেচ মার্ক প্রতিরোধে বা ফিকে করতে সাহায্য করতে পারে।

যদিও স্ট্রেচ মার্কের চিকিৎসা হিসাবে অ্যালোভেরার জন্য সামান্য ক্লিনিকাল প্রমাণ পাওয়া যায়, তবুও শুদ্ধ অ্যালোভেরা চেষ্টা করে দেখার মতো হতে পারে কারণ এটি ত্বককে নরম এবং সারিয়ে তুলতে পারে।

স্নানের পর প্রতিদিন আপনার স্ট্রেচ মার্কে গাছ থেকে পাওয়া বিশুদ্ধ অ্যালোভেরা বা একটি OTC পণ্য লাগান।

৬. নারকেল তেল

খাঁটি নারকেল তেল ত্বকের জন্য কিছু সুপরিচিত উপকারিতা রাখে। এটি আপনার ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক বাধা বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে।

২০১৮ সালের গবেষণায় ইঙ্গিত দেয় যে নারকেল তেল শুষ্ক ত্বক এবং কিছু ত্বকের সংক্রমণের উন্নতি করে। এবং ২০১০ সালের একটি গবেষণায় ইঁদুরের উপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা যায় যে খাঁটি নারকেল তেল ত্বকের ক্ষত দ্রুত সারাতে সাহায্য করে।

স্ট্রেচ মার্কের জন্য নারকেল তেল ব্যবহারের পক্ষে খুব বেশি প্রমাণ নেই। অন্যান্য উদ্ভিজ তেল (জলপাই তেল, বাদামের তেল এবং কোকোয়া মাখন) নিয়ে গবেষণায় এগুলি ব্যবহারের ফলে কোনো উন্নতি দেখা যায়নি।

তবে, ২০১৫ সালের গবেষণায় ইঙ্গিত দেয় যে আপনার ত্বকে আলতো করে মাসাজ করে তেল লাগানর ফলে স্ট্রেচ মার্ক প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। নারকেল তেল দিয়ে আপনার স্ট্রেচ মার্কের প্রতিদিন একটি আলতো মাসাজ সাহায্য করতে পারে, এবং এটি ক্ষতি করার সম্ভাবনা কম।

অবশ্যই, আপনি যদি নারকেলের প্রতি অ্যালার্জিক হন, তাহলে আপনি এই উপাদানটি এড়িয়ে চলতে চাইবেন।

মনে রাখবেন যে কোনও ত্বকের যত্নের চিকিৎসা মাঝে মধ্যে অ্যালার্জি বা সংবেদনশীলতা ​​কারণ হতে পারে। এতে ঘরের মালপত্র এবং প্রাকৃতিক পদ্ধতি গুলিও সামিল। সুতরাং, আপনি যদি কোনো প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করেন, তাহলে উপাদানটি ব্যবহার করা বন্ধ করুন।


স্ট্রেচ মার্কের জন্য আধুনিক চিকিৎসা

স্ট্রেচ মার্কের চিকিৎসা পদ্ধতি গুলি প্রশিক্ষিত পেশাদাররা অফিসে করে থাকেন। আপনার চিকিৎসা সাধারণত একজন ডাক্তার দ্বারা করা হবে – একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ, কসমেটিক সার্জন, বা প্লাস্টিক সার্জন – অথবা লাইসেন্স প্রাপ্ত পেশাদার, আপনি কোন স্থানে অবস্থান করছেন, পদ্ধতিটি কী এবং সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলির উপর নির্ভর করে।

আরও গবেষণা প্রয়োজন। তবে, গবেষণা – যেমন ২০১৭ সালের একটি এবং ঐ বছরেরই আরেকটি – ইঙ্গিত দেয় যে নীচের তালিকাভুক্ত চিকিৎসা পদ্ধতিগুলি দ্বারা স্ট্রেচ মার্কের চেহারা উন্নত করা যায়।

ফলাফল সম্পর্কে বাস্তবসম্মত আশা রাখা ভালো। এমনকি মেডিকেল চিকিৎসা পদ্ধতিগুলিও স্ট্রেচ মার্ক সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলতে বা প্রতিরোধ করতে পারে না।

১. লেজার থেরাপি

Laser therapy

লেজার থেরাপি ত্বকে ফোকাস করা আলো দেয়। কোন ধরণের লেজার ব্যবহার করা হয় তার উপর নির্ভর করে, চিকিৎসায় কোলাজেন উৎপাদন বাড়ানো এবং স্ট্রেচ মার্কগুলিকে আশেপাশের ত্বকের সাথে মিশে যাওয়ার ক্ষমতা থাকতে পারে, ২০১৭ সালের গবেষণায় এমন ইঙ্গিত দেয়। কার্যকারিতা দেখতে কিছু লেজার চিকিৎসার জন্য একাধিক সেশনের প্রয়োজন।

লেজার থেরাপি চিহ্ন এবং রোসাসিয়া এর ফলে সৃষ্ট ত্বকের টেক্সচার এবং লালভাব কমাতেও ব্যবহৃত হয়। সুতরাং, লেজার থেরাপি সম্ভবত স্ট্রেচ মার্কের চেহারা উন্নত করতে পারে বলে মনে হয়।

২. মাইক্রোডার্মঅ্যাব্রেশন

Microdermabrasion

মাইক্রোডার্মঅ্যাব্রেশন এমনভাবে ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে যা বাড়ির প্রতিকারগুলি করতে পারে না। একটি হাতে চালিত রড ব্যবহার করে, একজন পেশাদার আপনার মৃত ত্বকের কোষগুলিকে আলতো করে ঘষে তোলার জন্য আপনার ত্বকে একটি ঘষামষ কারক পদার্থ প্রয়োগ করেন।

স্ট্রেচ মার্কের জন্য মাইক্রোডার্মঅ্যাব্রেশন সম্পর্কিত গবেষণা সীমিত, তবে ২০১৭ সালের একটি গবেষণা পর্যালোচনা ইঙ্গিত দেয় যে এটি চিহ্নের তীব্রতা কমাতে পারে।

৩. মাইক্রো নিডলিং

Micro needling

মাইক্রো নিডলিং হল এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে ত্বকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্র তৈরি করা হয়। এই চিকিৎসাটি ত্বককে কোলাজেন এবং ইলাস্টিন উৎপাদন করতে উৎসাহ দেয়, যা ঢিলেঢালা ত্বককে আরও টানটান দেখতে সাহায্য করতে পারে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসন (FDA) এর মতে, বাড়িতে ব্যবহারের কিটের তুলনায়, অফিসে করা মাইক্রোনিডলিং ত্বকের আরও গভীরে প্রবেশ করে, ফলে ত্বকের নিরাময় কার্যকারিতা আরও কার্যকর এবং নিরাপদ করতে পারে।

মাইক্রোনিডলিং হল পুরনো স্ট্রেচ মার্ক সহ, স্ট্রেচ মার্কের টেক্সচার চিকিৎসা করার একটি সামান্য আগ্রাসী পদ্ধতি এবং এটি ত্বকের টোন ঠিক রাখতে সাহায্য করতে পারে।

৪. রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি থেরাপি

Radiofrequency therapy

রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি চিকিৎসা পদ্ধতিতে ত্বকে শক্তি তরঙ্গ পাঠানো হয় যা কোলাজেন উৎপাদন উত্তেজিত করে। এর ফলে ত্বক আরও দৃঢ় হতে পারে।

সাম্প্রতিককালে, আরও গভীরে ত্বকে শক্তি তরঙ্গ পাঠানোর জন্য রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি চিকিৎসা পদ্ধতিগুলিকে মাইক্রোনিডলিং চিকিৎসার সাথে একত্র করা হয়েছে। ২০১৯ সালের গবেষণা অনুসারে, সুঁই টি ত্বকে প্রবেশ করে এবং চ্যানেলগুলিতে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি নিঃসরণ করে, ফলে আরও গভীর স্তরের কোলাজেন উদ্দীপিত করে।

অন্য আরেকটি ২০১৯ এর গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি থেরাপি স্ট্রেচ মার্কের চেহারা উন্নত করতে পারে, তবে উপলব্ধ অন্যান্য চিকিৎসার সাথে এটির তুলনা কীভাবে করা যায় তা বোঝার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন।

৫. কেমিক্যাল পিল

Chemical peel

কেমিক্যাল পিল চিকিৎসায় ত্বকের পৃষ্ঠতে একটি এসিড, যেমন গ্লাইকোলিক অ্যাসিড, প্রয়োগ করা হয়। পেশাদার কেমিক্যাল পিল বেশি কার্যকর এবং শুধু মাত্র অফিস গিয়ে এই সেবা পেতে পারেন।

২০১৮ সালের একটি পর্যালোচনা অनुসারে, পিলগুলি ত্বকের গভীর এক্সফোলিয়েশন প্রদান করে এবং কোলাজেন উৎপাদনকে উন্নীত করে। এটি স্ট্রেচ মার্ককে ছোট দেখতে সাহায্য করতে পারে, তবে উপলব্ধ প্রমাণ সীমিত।

সাধারণত, ক্লিনিকাল পদ্ধতিগুলি হোম রেমেডিগুলির চেয়ে স্ট্রেচ মার্কের জন্য আরও কার্যকর। কিন্তু সাধারণত এই পদ্ধতিগুলির জন্য বিমা কাজ করে না এবং এগুলি ব্যয়বহুল হতে পারে।

সব ধরণের ত্বকের জন্য সব অপশন উপলব্দ থাকে না, সুতরাং আপনার জন্য কোনটি সঠিক তা জানতে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।


কাদের স্ট্রেচ মার্ক হয়

যে কাউকেই স্ট্রেচ মার্ক হতে পারে, তবে কিছু মানুষের এটি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। জিনগত কারণগুলি এর অন্যতম শক্তিশালী পূর্বাভাস। আপনার আত্মীয়স্বজনদের যদি স্ট্রেচ মার্ক থাকে, তাহলে আপনারও এটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

গর্ভাবস্থা হল স্ট্রেচ মার্কের একটি সাধারণ কারণ। ২০১৫ সালে প্রকাশিত গবেষণায় ইঙ্গিত দেয় যে গর্ভবতীদের প্রায় ৯০ শতাংশের স্ট্রেচ মার্ক হবে।

অন্যান্য ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • কর্টিকোস্টেরয়েড ঔষধ ব্যবহার
  • দ্রুত ওজন বাড়া বা কমা
  • স্তন বড় করতে অপারেশন করলে
  • দ্রুত পেশী বেড়ে গেলে, উদাহরণস্বরূপ, যারা জিম করে

দৃষ্টিভঙ্গি

স্ট্রেচ মার্ক খুবই সাধারণ। ওজনের পরিবর্তন এবং গর্ভাবস্থা এগুলো খুবই স্বাভাবিক পরিবর্তন যা অনেক মানুষেরই হয়, আর এগুলিই স্ট্রেচ মার্কের কারণ হয়ে থাকে।

নিখুঁত কোনো ঘরোয়া পদ্ধতি না থাকলেও, স্থানীয় চিকিৎসা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে এবং নিরাময় প্রক্রিয়াকে উন্নীত করতে সাহায্য করতে পারে। প্রাকৃতিক উপাদান এবং চিকিৎসা পদ্ধতি এর মধ্যে কোনটি বেশি কার্যকর এবং কার জন্য সবচেয়ে উপকারী, তা নির্ধারণের জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন।

গর্ভাবস্থার কারণে স্ট্রেচ মার্কের চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে, চিকিৎসাটি নিরাপদে ব্যবহার করা যায় কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য সর্বদা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা ভালো।

আপনি চিকিৎসা না করলেও প্রায় সব স্ট্রেচ মার্কই সময়ের সাথে সাথে মিশে যাবে। প্রথমে যতটা স্পষ্ট দেখায়, সাধারণত সেই রকম থাকে না।

মতামত নাই

একটা কিছু লিখে জান

আপনার মতামত টি লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

error: Content is protected !!

Discover more from গ্রাম বাংলা

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading

Exit mobile version