গত জুলাই থেকে রাশিয়ায় ৬৭০০ কনটেইনার লাখ লাখ গোলা পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহায়তার অংশ হিসেবে এগুলো পাঠানো হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিন ওন-সিকের বরাত দিয়ে আজ স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
৬৭০০ কনটেইনার গোলা
গত সোমবার স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে এক ব্রিফিংয়ে শিন উন বলেন, কনটেইনারগুলোতে ৩০ লাখের বেশি ১৫২ এমএম বা ৫ লাখ ১২২ এমএম আর্টিলারি শেল রয়েছে।
বার্তা সংস্থা ইউনহাপের খবরে বলা হয়, শিন উন বলেছেন, হতে পারে দুই ধরনের শেলই রয়েছে এবং আপনি বলতে পারেন অন্তত কয়েক লাখ গোলা পাঠানো হয়েছে।
শিন উন বলেন, উত্তর কোরিয়ার শত শত অস্ত্র কারখানা কাঁচামাল ও বিদ্যুতের অভাবে তাদের সামর্থ্যের মাত্র ৩০ শতাংশ অস্ত্র তৈরি করতে পারছে। কিন্তু তারা রাশিয়ার জন্য গোলা তৈরির কাজ ‘পুরোদমে’ চালিয়ে যাচ্ছে।
সিউল ও ওয়াশিংটন পিয়ংইয়ং ও মস্কোর বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবসার অভিযোগ এনেছে। একই সঙ্গে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করায় উত্তর কোরিয়ার নিন্দা জানিয়েছে।
যদিও দুই দেশই পারস্পরিক সামরিক সহযোগিতা জোরদার করার অঙ্গীকার করলেও তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
কোরিয়া ৯ হাজার কনটেইনার পণ্য পেয়েছে
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি তালিকা প্রকাশ করে বলেছে, গত সেপ্টেম্বর থেকে উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে ১০ হাজারের বেশি কনটেইনার ভর্তি গোলা বা সংশ্লিষ্ট রসদ সরবরাহ করেছে।
এর বিনিময়ে উত্তর কোরিয়া ৯ হাজার কনটেইনার পণ্য পেয়েছে। যার বেশির ভাগই খাবার। শিন উন বলেন, যা সেখানকার খাবারের দাম স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করেছে।
সিউলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, তাঁরা সংখ্যাটি নিশ্চিত বলতে পারবেন না। কিন্তু শিন উন বলেছেন, গত জুলাই মাস থেকে উত্তর কোরিয়ার তুলনায় রাশিয়া ৩০ শতাংশ বেশি কনটেইনার পিয়ংইয়ংয়ে পাঠিয়েছে।
শিন উন বলেন, উত্তর কোরিয়া আগামী মাসে একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে পারে। সে জন্য মস্কো প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
পাশাপাশি পিয়ংইয়ং রাশিয়ার কাছে উড়োজাহাজ তৈরি ও যুদ্ধ সরঞ্জাম পরিবহনের প্রযুক্তি সহায়তাও চেয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, রাশিয়া কতটা দেবে, তা স্পষ্ট নয়। তবে উত্তর কোরিয়া থেকে রাশিয়া যতটা গোলা পাবে, তার ওপর নির্ভর করবে তারা কতটা দেবে।
উৎসঃ প্রথম আলো
প্রকাশনায়ঃ রয়টার্স