কারও এক মাসে দু’বার পিরিয়ড হয়ে যায়। আবার কারও তিন মাস ছাড়া একবার পিরিয়ড হয়।
এই দুই বিষয়ই মহিলাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। এই ধরনের ঘটনাকে অনিয়মিত ঋতুস্রাব বলা হয়।
যদি নিয়মিত বা ঠিকমতো পিরিয়ড না হয়, তাহলে সচেতন হওয়া জরুরি।
কারও এক মাসে দু’বার পিরিয়ড হয়ে যায়।
আবার কারও তিন মাস ছাড়া একবার পিরিয়ড হয়।
এই দুই বিষয়ই মহিলাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। এই ধরনের ঘটনাকে অনিয়মিত ঋতুস্রাব বলা হয়।
ঋতুস্রাব একটি স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া।
মূলত ২৫ থেকে ২৮ দিনের ব্যবধানে ঋতুস্রাব হয়। খুব বেশি হলে ৩৫ দিনের ব্যবধান থাকে।
তাই সেখানে যদি নিয়মিত বা ঠিকমতো পিরিয়ড না হয়, তাহলে সচেতন হওয়া জরুরি।
অনিয়মিত ঋতুস্রাব মহিলাদের দেহে মারাত্মক রোগ ডেকে আনতে পারে।
অনিয়মিত ঋতুস্রাবের কারণে জরায়ু, ওভারি ও জরায়ুর মুখের ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গর্ভধারণেও সমস্যা দেখা দেয়।
আপনার বয়স যদি ৫০-এর আশেপাশে হয়, মেনোপজের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেলে অনিয়মিত ঋতুস্রাব বাড়ে।
চিকিৎসাধীন থাকলে এগুলো সহজেই এড়ানো যায়। কিন্তু বর্তমানে অল্প বয়সি মেয়েদেরও অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা দেখা দেয়।
অতিরিক্ত ওজন, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম, জরায়ুতে সমস্যা বা কোনও শারীরিক জটিলতা থাকলে অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা দেখা দেয়।
এক্ষেত্রে একমাত্র লাইফস্টাইলে বদল এনেই আপনি ঋতুচক্রকে স্বাভাবিক রাখতে পারবেন।
আপনি যদি সপ্তাহে ৬ দিন ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট যোগব্যায়াম করেন, ঋতুস্রাবজনিত নানা রকম সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
শরীরচর্চা করলে দেহে রক্ত সঞ্চালনও ভাল থাকে। এতে ঋতুস্রাবের যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
তেল-মশলাদার খাবার, ভাজাভুজি খাওয়ার অভ্যাস, বাইরের খাবারের প্রতি ঝোঁক ঋতুস্রাব সংক্রান্ত সমস্যা বাড়িয়ে তুলবেই।
স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া করুন। তাজা শাকসবজি, ফল, বাদাম, বীজ খান বেশি করে। ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি।
পিসিওডি হোক বা থাইরয়েড—যে কারণেই ওজন বাড়ুক না কেন, এটি অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা বাড়াতে পারে।
এছাড়া মানসিক চাপ কমান। অনিয়মিত ঋতুস্রাবের পিছনে মানসিক অবসাদও দায়ী হতে পারে।
উৎসঃ টিভি ৯বাংলা
যে কোনো বিষয়ে তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজটি তে লাইক করুন।
স্বাস্থ্য বিষয়ে আরো পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন