মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে এবং সেটা শরীর থেকে বেরোতে না পারলে, রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়ে।
এর জেরেই পায়ের বুড়ো আঙুলে ব্যথা, গোড়ালি ফুলে যায় এবং অসহ্য ব্যথা হয়। একে গাউটও বলা হয়।
শীতকাল এলে বাতের ব্যথা থেকে গাউটের সমস্যা বাড়ে। আপনার দেহে যদি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি থাকে, তাহলে এই ঠান্ডায় ব্যথা-যন্ত্রণা বাড়বে, জায়গাটা অনমনীয় হয়ে ওঠে।
যদিও শীতের সবজি দিয়েই আপনি সমস্যাকে প্রতিরোধ করতে পারবেন।
শীতকালে অ্যালকোহল জাতীয় পানীয়, ফ্যাট এবং প্রোটিন যুক্ত খাবার যত বেশি খাবেন, ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা বাড়বে।
এই অবস্থায় আপনি যদি শীতের এই ৫ সবজি রোজ খান, ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।
শীত ছাড়া তাজা পালং শাক আপনি পাবেন না।
আর এই মরশুমে যদি পালং শাক খান ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়বে না। পাশাপাশি আপনি গাঁটের ব্যথা থেকে আরাম পাবেন।
শীতকালে বাজারে ব্রকোলির দেখা মেলে। এই সবজির মধ্যে ভরপুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে।
ভিটামিন সি গাউটের সমস্যাকে প্রতিরোধ করে। পাশাপাশি দেহে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে।
শসায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা দেহ জমে থাকা অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড বের করে দেয়।
যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ইউরিক অ্যাসিডে ভুগছেন, তাঁদের ডায়েটেও শসা রাখা দরকার।
মটরশুঁটি ইউরিক অ্যাসিডের উপসর্গকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
মটরশুঁটির মধ্যে প্রোটিন রয়েছে ঠিকই, কিন্তু এটি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ায় না। বরং, গাউটের সমস্যাকে প্রতিরোধ করে।
কলকাতার বাজারে সচরাচর অ্যাসপারাগাস বা শতবরির দেখা পাওয়া যায় না।
কিন্তু এই সবজি শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড বের করে দিতে পারে।
পাশাপাশি পায়ের বুড়ো আঙুলে ব্যথা, গোড়ালি ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা প্রতিরোধ করে।