স্তন ক্যানসার বা জরায়ু ক্যানসার থেকে বাঁচতে রোগের উপসর্গগুলি আগে চিনতে হবে।
স্তনে ব্যথা, হঠাৎ করে কোনও একটি স্তনের আকার বেড়ে যাওয়া স্তন ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।
স্তনবৃন্ত যদি হঠাৎ করে অনুভূতিহীন হয়ে পড়ে বা স্তনবৃন্ত থেকে দুধের মতো জলীয় পদার্থ নির্গত হয়, তাহলে সতর্ক হন।
স্তন ক্যানসার বোঝার ৮ টি উপায় লেখা হলো
১- মারণ রোগ ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা দিন-দিন বাড়ছে। লিভার ক্যানসার, গলায় ক্যানসার থেকে মহিলাদের জরায়ু ক্যানসার, স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা দিন-দিন বাড়ছে।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ মহিলা জরায়ু ও স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং টেরও পাচ্ছেন না।
২- স্তন ক্যানসার বা জরায়ু ক্যানসার থেকে বাঁচতে রোগের উপসর্গগুলি আগে চিনতে হবে।
স্তনে ব্যথা, হঠাৎ করে কোনও একটি স্তনের আকার বেড়ে যাওয়া স্তন ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।
স্তনবৃন্ত যদি হঠাৎ করে অনুভূতিহীন হয়ে পড়ে বা স্তনবৃন্ত থেকে দুধের মতো জলীয় পদার্থ নির্গত হয়, তাহলে সতর্ক হন।
৩- স্তন ক্যানসারের কোনও একটি লক্ষণ দেখা দিলে অবহেলা করবেন না। অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যান।
এছাড়া নিজেও নিয়মিত পরীক্ষা করলে বুঝতে পারবেন, আপনি স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন কি না।
৪- স্তন পরীক্ষার জন্য প্রতি মাসের একটি নির্দিষ্ট সময় বেছে নিন। বিশেষত মেনোপজ শেষ হওয়ার নির্দিষ্টভাবে কয়েকদিন পর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেই স্তনের পরীক্ষা করতে পারে।
মূলত, স্তনের আকারে কোনও বদল হচ্ছে কি না বা বগলের কাছে ফোলাভাব হচ্ছে কি না খেয়াল রাখুন।
৫- বিছানায় ডান হাতের উপর মাথা রেখে, ডানদিকে ফিরে শুয়ে, বাঁ হাত দিয়ে ডান দিকের স্তন বাইরের দিক থেকে কেন্দ্রের দিকে ঘোরান।
একইভাবে বাঁ দিকের স্তন পরীক্ষা করুন। কোনরকম ব্যথা বা ফোলা ভাব অনুভব করলেই চিকিৎসকের কাছে যান।
৬- স্তনবৃন্তে বা বৃন্তের গোড়ায় ব্যথা, ফোলাভাব হয়েছে কি না খেয়াল রাখুন। স্তন বৃন্ত থেকে জলীয় পদার্থ নির্গত হলে অবহেলা করবেন না।
বিবাহিত, অবিবাহিত- যে কারও এই সমস্যা হতে পারে। সাধারণত হরমোনের সমস্যা থেকে এটা হয়। তবে স্তন ক্যানসারের লক্ষণও হতে পারে।
৭- স্তনে ব্যথা বা ফোলা ভাবের সঙ্গে স্তনের রং বদলে যাওয়াও ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। আবার ঘাড়ে-পিঠে ব্যথাও স্তন ক্যানসারের একটি উপসর্গ।
এই লক্ষণগুলি দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৮- বিশেষজ্ঞদের মতে, বিএআরসি-১ ও বিএআরসি -২ নামে দুটি জিন স্তন ক্যানসারের জন্য দায়ী। তাই এটি রোগের কারণ খানিক বংশগত।
শুরুতেই স্তন ক্যানসার ধরা পড়লে এবং যথাযথ চিকিৎসা করা হলে এই রোগ থেকে নিরাময় সম্ভব।