ক্রিকেট ব্যাট হাত নিয়ে প্রত্যেকের কাছে প্রথম স্বপ্ন থাকে দেশের জার্সিতে খেলা। সকলের স্বপ্ন পূরণ হয় না। আর কারও সামনে সেই সুযোগ এলে? হৃদস্পন্দন বাড়তে থাকে।
সে সময় ভরসা দেয় কারও কিছু কথা। রঞ্জি ট্রফিতে দুরন্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেয়েছেন কর্নাটকের ব্যাটার দেবদত্ত পাড়িক্কাল। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের সৌজন্যে এই নাম অতি পরিচিত।
তবে টেস্ট ক্রিকেটে খেলার স্বপ্ন পূরণ হল ছবির মতোই স্টেডিয়ামে। কী পরিস্থিতি হয়েছিল দেবদত্তর? বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটার উঠে আসছেন।
টেস্ট ক্রিকেটে ভালো পারফর্মও করছেন। ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য এর চেয়ে স্বস্তির আর কী হতে পারে! নতুন সংযোজন দেবদত্ত পাড়িক্কাল।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে তাঁর দাপুটে ব্যাটিং দেখা গিয়েছে। টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ইনিংসেই যেন জাত চেনালেন। ১০৩ বলে ৬৫ রানের ঝকঝকে ইনিংস। ১০টি বাউন্ডারি এবং একটি ওভার বাউন্ডারি।
শুরুটা এত সহজ ছিল না। ব্যাটের কানায় বল লেগে বাউন্ডারি। আর যাই হোক টেস্ট অভিষেকে শূন্য বাঁচতেই যেন ভরসা পেয়েছিলেন। তার আগে বড় ভরসা ছিল রাহুলের পেপ টক।
কোচ হিসেবে রাহুল দ্রাবিড়কে আগেও পেয়েছেন। টেস্ট স্কোয়াডে থেকে পাওয়া আরও বেশি আত্মবিশ্বাস জোগায়। ম্যাচের প্রথম দিন কেটেছে ফিল্ডিংয়ে।
তাঁকে ব্যাটিংয়ে নামতে হল দ্বিতীয় দিন লাঞ্চের পর। দেবদত্তর কথায়, ‘রাহুল স্যর আগেই আমাকে বলেছিলেন, প্রথম ১০-১৫ মিনিট স্নায়ুর চাপ সামলে রাখতে হবে।
এরপর খেলাটা উপভোগ করার কথা বলেছিলেন। তাঁর কথাগুলোই আমাকে সাহায্য করেছিল। আমার আরও ভালো ব্যাটিং করা উচিত ছিল। অন্তত শেষ সেশন অবধি ক্রিজে থাকা দরকার ছিল।’
রোহিত-শুভমনের জোড়া সেঞ্চুরি, যশস্বী, সরফরাজ ও দেবদত্তর হাফসেঞ্চুরি। দিনের শেষে ৪৫ রানের জুটি কুলদীপ যাদব ও জসপ্রীত বুমরার। দ্বিতীয় দিনের শেষে ম্যাচের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ ভারতের হাতেই।
সব কিছু ঠিক থাকলে তৃতীয় দিনই ম্যাচ জিততে পারে ভারত। দেবদত্তর সাফল্যের মন্ত্র কী? বলছেন, ‘আমি সব সময় শৃঙ্খলায় বিশ্বাসী। জীবনের সবক্ষেত্রেই এটা মানার চেষ্টা করেছি।’